তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়ে পরিবার, অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং পুলিশের কেউ এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, শামসুজ্জামান চুয়াডাঙ্গা শহরের বাসা থেকে থেকে মেহেরপুর বিবিসিকে এসে নিয়মিত অফিস করতেন। তবে মাঝে মাঝে এই অফিসে রাত্রি যাপনও করতেন। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে তিনি অফিসে আসেন। দুপুর পর্যন্ত অফিসেই ছিলেন। বিকেলে পাশের গোপালপুর গ্রামের একটি চায়ের দোকানে চা পান করে সেখানে কেরামবোর্ডও খেলেছেন। পরে আবার অফিসে আসেন। রাতের পর থেকে তার সাথে অফিসের আর কারও সাথে দেখা হয়নি। সকালে অফিসে এসে বিসিকের পাশের একটি পুকুরপাড়ের আমগাছে তার ঝুলন্ত মরদেহ রয়েছে মর্মে খবর পায়। দ্রæত পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
তবে বেশ কয়েকদিন ধরে তার আচার আচারনের একটু পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছিলো অফিসে চাকুরিত কমৃকর্তা কর্মচারীরা।
সামসুজ্জামানের ভাই আহসানুজ্জামান জানান, অফিসের একটি মোটা অঙ্কের হিসাব নিকাশ নিয়ে ঝামেলায় ছিলেন শামসুজ্জামান। এটি বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি। তবে সে আমাদের কখনই জানায়নি। তাই আমরা জানিও না সে ঋণগ্রস্ত ছিল কি না। পরিবারের সাথেও যে কোন ঝামেলা আছে তা কখনই শুনিনি। সকালে বিষয়টি শোনার পর ঘটনাস্থলে আমরা এসেছি। আসলে সে আত্মহত্যা করেছে না অন্য কিছু তা কিছুই বুঝতে পারছি না।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহসান জানান, আমরা মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছি। এটি আত্মহত্যা না এর পিছনে অন্য কোন কারণ আছে তা ময়নাতদন্ত সমপ্ন হওয়ার পর জানা যাবে।